English
রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
...

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান শেখ হাসিনার  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মাদ্রিদ (স্পেন), ২ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবারঃ শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিতকরণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবমুক্ত হতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণের উদাত্ব আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ তিনি স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে "এ্যাকশন ফর সারভাইবাল: ভালনারেবল নেসন্স" আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন। 


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "আমরা সম্ভবত আমাদের সময়ের সবচেয়ে কঠিন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাক অতিক্রম করছি। ১৯৯২ সাল থেকে 'ধরিত্রী সম্মেলন' শুরু হওয়ার পর আমরা গ্রীন হাউস গ্যাস হ্রাসের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হইনি। এর নিঃসরণ এখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রবণতা বিশ্বের জন্য এখনও টেকসই নয়। তিনি আরো বলেন, "আমাদের মোকাবেলার সীমিত সক্ষমতা এবং সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক বৈশিষ্টের কারণে আমাদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে। এটা একটা মারাত্মক অবিচার এবং বিশ্ব সম্প্রদায়কে এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে।"  


প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মালেতে ২০০৯ সালের নভেম্বরে ফোরামের প্রথম বৈঠকের পর থেকে বৈশ্বিক জলবায়ু ভূপৃষ্ঠের যথেষ্ট পরিবর্তন হয়েছে। হতাশার বিষয় হলো ইউএনএফসিসিসি প্রক্রিয়ার আওতায় এই অগ্রগতি খুবই ধীর এবং অত্যন্ত অপ্রতুল। বিশেষত আমাদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে জাতীয়ভাবে দৃঢ় অভিযোজন উদ্যোগের সমর্থনে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ এখনো কঠিন বিষয়।"  

তিনি আরো... বলেন, "আমাদের মতো সর্বাপেক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ যেগুলো সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন সেই সব দেশ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাচ্ছে না। নতুন ক্লাইমেট ভারনারেবল ফান্ড (সিভিএফ) ও ভি-২০ ট্রাস্ট ফান্ড সৃষ্টি এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি নতুন স্পেশাল রেপোর্টার-এর সম্ভাবনা হবে একটা বড় সাফল্য। সিভিএফ এবং ভি-২০ সাউথ-সাউথ এবং ট্রায়ঙ্গেল কো-অপারেশনের উৎকৃষ্ট উদাহরণ, আমরা এর সাফল্যকে আরো বিকশিত করতে চাই।" 


শেখ হাসিনা বলেন, "মিয়ানমার থেকে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বিভিন্ন ধরণের পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠেছে, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে খারাপ পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রথম অভিজ্ঞতা রয়েছে। অতএব আমাদের ঝুঁকি, প্রভাব এবং মোকাবিলার সক্ষমতার অভাব রয়েছে এমন অরক্ষিত দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য একটি মানদন্ড নির্ধারণ করতে হবে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তন সমর্থনও অব্যাহত রাখতে চাই এবং নিয়মিত এর উন্নয়ন অর্থকে কঠোরভাবে পৃথক রাখতে চাই।" তিনি আরো বলেন, "বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের স্থানান্তর এবং সুরক্ষা নিশ্চিতে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় যথাযথ মনোনিবেশ করা দরকার।"  

গুরুত্বপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল বাচলেট জেরিয়া, কোস্টারিকার প্রেসিডেন্ট কার্লোস আলভারাডো কুইসাদা, নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, ইউএনএফসিসিসির নির্বাহী সম্পাদক প্যাট্রিসিয়া এস্পিনোসা এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিলদা হেইন প্রমুখ। 




মন্তব্য

মন্তব্য করুন